,

চা শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

পিন্টু অধিকারী মাধবপুর : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৫টি চা বাগানে চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে কর্মবিরতি করে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে চা শ্রমিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার মাধবপুরে ৫টি বাগান একসাথে হেটে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জগদীশপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর রাজপথে অবরোধ করেন চা শ্রমিকরা। তাদের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
চা শ্রমিকরা বলেন, ৩০০ টাকা মজুরী না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাগানে কাজ বন্ধ রেখে পূর্ণ দিবস আন্দোলন চলবে। বর্তমান সময়ে আমরা যে মজুরি পাই তা দিয়ে জীবনের চাকা চালানো প্রায় অসম্ভব। শ্রমিকদের প্রতি এটা অমানবিক আচরন ছাড়া কিছু নয়। বিশ্ব বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে কমপক্ষে ৩শত টাকা মজুরি করতে হবে।
২২টি চা বাগানের ভ্যালীর সভাপতি রবীন্দ্র গৌড় বলেন, আমদের দাবী ৩০০ টাকা মজুরী দিতে হবে, মালিক পক্ষ ২০ টাকা বাড়িয়েছে বর্তমান মজুরী ১৪০ টাকা। কিন্তু এই মজুরী মানব না। বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে আমাদের চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। আমরা একাধিক সময়ে বাগান মালিকদের সাথে বৈঠক করছি। চা শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাগান মালিকদের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী মজুরী বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও মালিকরা চুক্তি ভঙ্গ করছেন। চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির এ দাবি দীর্ঘদিনের। প্রতি বছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও গত ৩ বছর ধরে নানা টালবাহানা করে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। এতে করে চা শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।
লস্করপুর ভ্যালি সভাপতি রবীন্দ্র গৌড়ের নেতৃত্বে মহাসড়কে অবস্থান কালীন সময়ে বক্তব্য রাথেন, শ্রমিক নেতা স্বরজিত পাশী, খোকন পানতাঁতী, প্রদীপ কৈরি, লালন পাহান, বাবুল হোসেন খান, চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী, আইয়ূব খান প্রমুখ। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন, সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ ও অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক অনুরোধে শ্রমিকরা আধা ঘন্টা অবরোধ করার পর মহাসড়ক ত্যাগ করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর